
সম্প্রতি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলীয় সমাবেশে ‘সরকার বিরোধী উসকানিমূলক’ বক্তব্য দিয়েছেন এমন অভিযোগ পুলিশের। এছাড়া নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভ্যন্তরে নিজের কর্মী ঢুকিয়ে দিতেও পরিকল্পনা করেন তিনি। তার পরিকল্পনার ফোনালাপ সে সময় স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। সেখানে গিয়েও ক্ষান্ত হননি তিনি। বিদেশের মাটিতেও দিচ্ছেন সরকার বিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য।
এদিকে গত ১৬ আগস্ট আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ১২’শ কোটি টাকার অবৈধ সম্পত্তি রয়েছে বলে জানিয়েছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি থাকাকালীন শুধু মাত্র শেয়ার বাজার থেকেই ৫০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেন আমীর খসরু। সোনালী ব্যাংক থেকে ২’শ কোটি টাকার ঋণ তুলে তা আর ফেরত দেননি খসরু। এছাড়া সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের জোনাল চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় ৩’শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে। এমনকি বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক থেকে দুইশত কোটি টাকা গায়েব করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এ প্রসঙ্গে দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, দুদকের এতো অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও আমীর খসরু কাউকে কিছু না বলে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছেন। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দুর্নীতির অভিযোগ থাকার পরও রাষ্ট্র বিরোধী উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া বন্ধ হচ্ছে না খসরুর। তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোর ভিত্তিতে তাকে যেকোন উপায়ে বাংলাদেশে এনে আইনের আওতায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।