
সূত্র বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ রাজিব আহসানকে শ্রদ্ধা করে জড়িয়ে ধরে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির আভাস দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতার এমন অসাধারণ আচরণে দেশবাসী বিস্মিত হয়েছে। রাজনীতিতে সুদিন ফিরছে বলেও মন্তব্য করেছেন একাধিক রাজনীতি বিশ্লেষক। কিন্তু ছাত্রলীগ নেতার এমন শ্রদ্ধার রাজনীতিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিএনপি নেতা তারেক রহমান। দুই বিরোধী রাজনৈতিক দলের ছাত্রনেতাদের এমন ভ্রাতৃত্বপূর্ণ আচরণে গায়ে জ্বালা ধরেছে তারেকের।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় এক নেতা বলেন, রাব্বানী ও রাজিব ভাইয়ের কোলাকুলির দৃশ্য দেখে আমরা আবেগ তাড়িত হয়ে পড়ি। কিন্তু খড়গ নেমে আসে কিছুক্ষণ পরেই। গাড়িতে রাজিব ভাইয়ের সাথে বাড়ির পথে রওনা দিতেই লন্ডন থেকে ফোন করেন তারেক রহমান। চিরশত্রু ছাত্রলীগ নেতার সাথে কার অনুমতি নিয়ে এবং কোন সাহসে কোলাকুলি করা হল তারেক রহমানের এমন প্রশ্নে ভীত হয়ে পড়েন ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান। ভ্রাতৃত্বের রাজনীতি বাদ দিয়ে প্রতিশোধের রাজনীতিতে বিএনপি বিশ্বাস করে এবং বিএনপি কখনো শত্রুর সাথে হাত মেলাতে পারে না বলে রাজিব আহসানকে বোঝান তারেক। তার এমন নির্বিকার ও অসহায় আত্মসমর্পণে বিএনপির সম্মানহানি হয়েছে বলেও জানান তারেক। বিএনপির দুর্বলতা প্রকাশিত হয়েছে কোলাকুলিতে। এর অর্থ হল বিএনপি দুর্বল হয়ে ভয়ে বিরোধী দলের সাথে সমঝোতা করছে বলেও মন্তব্য করেন তারেক। রাজিব আহসানের এমন কর্মকাণ্ডে তৃণমূল বিএনপিতে ভুল বার্তা গিয়েছে। ভবিষ্যতে এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে এবং উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবেও বলে রাগান্বিত হয়ে ফোন কেটে দেন তারেক। তারেক রহমানের এমন হঠাৎ টেলিফোনে ভীত হয়ে পড়েন রাজিব। অনিচ্ছাকৃত এবং অনাকাঙ্খিত ভুলের জন্য মাথা চাপড়াতে থাকেন রাজিব। গাড়িতে থাকাকালীন সময়েই রাজিব মির্জা আব্বাস ও মওদুদ আহমদকে ফোন করে বিস্তারিত জানান এবং তারেক রহমানের রোষানল থেকে বাঁচানোর জন্য আকুতি জানান রাজিব।