নিরাপদ সড়কের দাবিতে সম্প্রতি স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে আন্তর্জাতিক একটি মিডিয়ার কাছে অযৌক্তিক ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়ায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। শহিদুল আলমকে গ্রেফতারের পরপরই তাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরণের আলোচনা সমালোচনা শুরু হয় বিভিন্ন মাধ্যমে। তাকে গ্রেফতারের পর তাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরণের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে।
১৯৮৪ সালে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে তিনি আলোকচিত্রী হিসাবে কাজ শুরু করেন, ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন দৃক। আলোকচিত্র গ্রন্থাগার হিসেবে শুরু করলেও পরে দৃকের সঙ্গে যুক্ত হয় দৃক গ্যালারি, পাঠশালা, দৃক আইসিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারি কোনো সংস্থার অনুমোদন ছাড়াই দেড় যুগ ধরে চলচ্চিত্র ও ফটোগ্রাফির সার্টিফিকেট কোর্স চালিয়ে যাচ্ছিলেন আলোকচিত্রী, দৃকের প্রতিষ্ঠাতা শহিদুল আলম। নিজস্ব বিবেচনায় স্নাতক, ডিপ্লোমা, শর্ট কোর্স, লং কোর্সসহ বিভিন্ন নামে সনদ দেওয়া হচ্ছে তার প্রতিষ্ঠিত পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট থেকে।
পাঠশালায় নিজের একক আধিপত্য ধরে রাখতেই শহিদুল সরকারি অনুমোদন নিয়ে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে চলেছেন এতদিন।
পরবর্তীতে তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অভিযোগের মুখে গত বছর সরকারি সংস্থার অনুমোদন নিয়েছেন তিনি।